দিনহাটা: অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে ততই যেন গোটা বিষয়টি আরও চর্চিত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ইদানীং নানা এলাকায় রাম মন্দির(Ram Mandir) তৈরির ধুম পড়েছে। ভেটাগুড়ি ও ঘোকসাডাঙ্গাও এবারে সেই তালিকায় নাম লেখাল। ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন কোচবিহারের(Cochbeehar) এই দুই এলাকায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। এই মন্দিরগুলি তৈরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক মূলত উদ্যোগী হয়েছেন। ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের জোরপুল ও মাথাভাঙ্গার ঘোকসাডাঙ্গায় এই মন্দির তৈরির জন্য ইতিমধ্যে জায়গা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। রাজস্থান থেকে আনা বেলেপাথর দিয়ে সেই মন্দির তৈরি করা হবে। রাজস্থানের শিল্পীদের দিয়ে মন্দিরগুলি তৈরি করা হবে। বহু চেষ্টা করেও মঙ্গলবার নিশীথের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
দলের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অজয় রায় অবশ্য বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের উদ্যোগে ভেটাগুড়ি জোরপুল এলাকায় রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। ২২ জানুয়ারি মন্দির তৈরির কাজ শুরু হবে।’ ঘোকসাডাঙ্গায় রাম মন্দির তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে বলে মাথাভাঙ্গার বিধায়ক সুশীলচন্দ্র বর্মন জানিয়েছেন। তবে বিষয়টিতে ঘাসফুল শিবির রাজনীতির ছোঁয়াই দেখছে। গোটা বিষয়টির সমালোচনা করে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসের উদয়ন গুহের বক্তব্য, ‘মন্ত্রী গত পাঁচ বছরে এলাকার জন্য কিছুই করেননি। তাই বাধ্য হয়ে এখন রামের শরণাপন্ন হয়েছেন। রামের দৌলতে যদি ভোট পার করা যায়, সেটাই ওঁর লক্ষ্য।’
রাম মন্দিরের উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে বর্তমানে অযোধ্যায় সাজোসাজো রব। ইতিমধ্যেই সেখানে বেশ ভিড় জমতে শুরু করেছে। অযোধ্যার মতো কোচবিহারও যাতে রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে চর্চার বিষয় হয়ে ওঠে সেজন্য নিশীথ উদ্যোগী হয়েছেন। তাঁর উদ্যোগেই কোচবিহার উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের ছড়ারকুঠি গ্রামে ইতিমধ্যে রাম মন্দির তৈরির কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে। ২২ জানুয়ারি সেখানে রামের মূর্তিতে প্রাণপ্রতিষ্ঠার পাশাপাশি পুজোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মন্দিরগুলি তৈরির জন্য রাজস্থান(Rajasthan) থেকে বেলেপাথর নিয়ে আসা হয়েছে। ছড়ারকুঠি গ্রামের মন্দিরটি তৈরির পর যে সমস্ত পাথর অবশিষ্ট রয়েছে সেগুলিকে ওই মন্দিরের পাশের মাঠে রাখা রয়েছে। সেখানকার মন্দির তৈরির কাজ হলে রাজস্থান থেকে আসা শিল্পীরা ওই পাথরগুলি নিয়ে এসে ভেটাগুড়ি ও ঘোকসাডাঙ্গার মন্দিরগুলির কাজগুলি শুরু করবেন বলে জানা গিয়েছে।
এই দুই মন্দির নির্মাণকে ঘিরে ইতিমধ্যেই বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ছড়িয়েছে। ভেটাগুড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা তথা উপপ্রধান দীপক বর্মন বললেন, ‘জোরপুল এলাকায় মন্দির তৈরি হবে৷ মন্দির তৈরির সময়টার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছি।’ গোটা বিষয়টি যেন স্রেফ রাজনীতির স্বার্থে না করা হয় সেদিকে সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে তৃণমূল কর্মীরা জানিয়েছেন।