কলকাতা: সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali) ফের প্রশ্নের মুখে রাজ্য পুলিশ। বুধবার আদালতে শাহজাহান শেখকে (Shahjahan Sheikh) ওসামা বিন লাদেনের (Osama bin Laden) সঙ্গে তুলনা করলেন ইডির আইনজীবী। তাঁর কথায়, লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান। তাহলে কেন পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না, প্রশ্ন ইডির।
এদিন সন্দেশখালি মামলার শুনানি চলাকালীন রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, শাহজাহানের বাড়ির সামনে ১০টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এরপর বিচারপতি প্রশ্ন করেন, এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে পারেননি? উত্তরে রাজ্যের তরফে বলা হয়, খোঁজ চলছে। এরপর ইডির উদ্দেশে বিচারপতির বক্তব্য, ‘একটা ক্ষমতাশালী কেন্দ্রীয় সংস্থা হয়ে আপনারা ধরতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিয়েও ধরতে পারছেন না। আর সিবিআই গ্রেপ্তার করতে পারবে, এটা মনে করছেন?’ এরপর ইডি’র তরফে বলা হয়, দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি (ED)। এই ঘটনায় গত ১২ দিন ধরে পুলিশ ধরতে পারেনি। সিবিআইয়ের তরফে বলা হয়, ওসামা বিন লাদেনের মতো ভয়েস মেসেজ করছেন শাহজাহান। তারপরও পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না?
এদিন সন্দেশখালি মামলার শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta HC) নির্দেশ দিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্যকে একজন করে এসপি পদমর্যাদার অফিসারের নাম দুপুর ২টোর মধ্যে আদালতে জমা দিতে হবে। বিকেল ৪টায় রায় ঘোষণা করবে আদালত। এদিন সন্দেশখালি মামলায় ইডির হয়ে কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল (এএসজি) এসভি রাজু এবং আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী সওয়াল করেন। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে ছিলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) কিশোর দত্ত এবং আইনজীবী অমিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়িতে হানা দেয় ইডির পাঁচ সদস্যের একটি দল। র্যাশন দুর্নীতির সূত্র ধরে শাহজাহানের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। ওই দিন বাড়িতে গিয়েও শাহজাহানের দেখা মেলেনি। এখনও খোঁজ মেলেনি তাঁর। এর মধ্যে একটি অডিওবার্তা ভাইরাল হয়েছে। সেই অডিওবার্তার সত্যতা যাচাই করেনি উত্তরবঙ্গ সংবাদ। সেখানে বক্তা নিজেকে শাহজাহান বলে দাবি করেন। ওই কণ্ঠে শোনা যায়, ‘আমার অঞ্চলের সভাপতি যাঁরা আছেন, যুব সভাপতি যাঁরা আছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক যাঁরা আছেন, সবার কাছে আমার অনুরোধ- এই সব সিবিআই, ইডিকে নিয়ে কোনও ভয় নেই। শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ তোমরা বুঝতে পারছ, এটা একটা ষড়যন্ত্র। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’ সেই অডিওবার্তার কথাই এদিন বলা হয়।