নাগরাকাটাঃ চা শ্রমিকরা বাগানের যেখানে বসবাস করেন সেই জমিরই বাস্তু পাট্টা পাওয়ার প্রদানে রাজ্য সরকার এগোচ্ছে বলে আশ্বাস দিয়ে গেলেন চা বলয় থেকে মনোনীত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিকবরাইক। গত ২১ তারিখ সাংসদ হিসেবে শপথ নেওয়ার পর বুধবারই তিনি দিল্লি থেকে বাড়ি ফেরা্র পথে নাগরাকাটায় আসেন। ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সুলকাপাড়া ক্রসিং এ সাংসদকে বিপুল সংবর্ধনায় ভরিয়ে দেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেই প্রকাশ বলেন, চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। শ্রমিকরা যেখানে বসবাস করেন সেখানেই যাতে তাঁরা পাট্টা পায় সেব্যাপারে সরকারের ভূমিকা অত্যন্ত ইতিবাচক। প্রকাশের সংযোজন, পাট্টা সংক্রান্ত রাজ্য সরকারের যে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে সেটা জমির সমীক্ষা করে দেখার জন্য। এখনই কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় নি। মালিকপক্ষের সঙ্গেও সরকারের বৈঠক হবে। অথচ এখনই অনেকে নানা কথা বলা শুরু করেছেন। তাঁদের বলব আপনারাও সরকারের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বোঝার চেষ্টা করুন।
প্রকাশ বলছেন, আমি নিজেও চা শ্রমিক মহল্লাতেই থাকতাম। এখন স্টাফ কোয়ার্টারে থাকি। শ্রমিকরা যেখানে থাকে সেখানেই পাট্টা পাওয়া যাবে। এব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা্য়ের প্রচেষ্টা অত্যন্ত আন্তরিক। মনে রাখতে হবে এবছরের ১৯ জানুয়ারি সুভাষিনী চা বাগানের সভা মঞ্চ থেকে তিনি পাট্টা সংক্রান্ত ঘোষণা করার পর এপর্যন্ত আলিপুরদুয়ার জেলায় সাড়ে বারোশো শ্রমিক পাট্টা পেয়েছেন। অসম, কেরল, ত্রিপুরার মতো দেশের অন্যান্য চা অধ্যুষিত রাজ্যের কথা তুলে ধরে সাংসদ বলেছেন, চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়ার নীতি একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারই নিয়েছে। অন্য রাজ্যগুলি এব্যাপারে একচুলও এগোয় নি। অথচ অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। পাট্টা ও ন্যূনতম মজুরি শ্রমিকদের এই দুই দাবিই অবশ্যই পূরণ হবে।
এদিন রাজ্য সভার সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, প্রত্যেক জেলাবাসী কে ধন্যবাদ। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানাই। অনন্ত মহরাজের বক্তব্য প্রসঙ্গে প্রকাশের দাবি বিজেপির বিধায়ক, সাংসদ আলিপুরদুয়ারের জন্য কিছু করেন নি। আমি তাদের মতো হাওয়া গরম করা কথা বলতে চাইনা। আমি জেলার জন্য কাজ করে যেতে চাই, মানুষের সুখ দুঃখে পাশে থাকতে চাই।
এদিন আলিপুরদুয়ার ফেরার পথে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ প্রকাশ চিক বরাইককে সংবর্ধনা দেওয়া হয় ডুয়ার্সের এথেলবাড়িতেও। আদিবাসী পরম্পরায় তাঁকে ধামসা মাদলের তালে টিকা পরিয়ে বরন করা হয়। এছাড়াও এদিন তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে বানারহাট, রাঙ্গালীবাজনা, গরমবস্তি সহ বিভিন্ন এলাকায়। ফালাকাটা ব্লক যুব সহ সভাপতি জবেদুল আলম বলেন, ‘প্রকাশ বাবু আমাদের জেলার গর্ব। আমরা প্রকাশ বাবুর খবরে খুশি হয়েছি তাই গোটা ধনীরামপুর ১ অঞ্চলের তরফে নতুন রাজ্যসভার সাংসদ কে শুভেচ্ছা জানিয়েছি।