করণদিঘি: তিন মাস ধরে স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও নিয়ম করে বেতন তুলছেন এক শিক্ষক। এমনই অভিযোগ উঠল ডালখোলা থানার গোয়ালপোখর ২ ব্লকের সুর্য্যাপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাসান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের নাম ডুকন বিশ্বাস। বিদ্যালয় থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব আনুমানিক ৩ কিলোমিটার। জুন মাসে হাজিরার খাতায় তাঁকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। তারপরেও মাসিক বেতন সহ সরকারি সুবিধা কীভাবে পাচ্ছেন? এবিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মিহির কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘বিদ্যালয়ে চারজন নিয়মিত শিক্ষক ও একজন পার্শ্ব শিক্ষক রয়েছেন। জুন মাস থেকে ডুকনবাবু বিদ্যালয়ে আসছেন না কোনরকম ছুটি ও মেডিকেল ছাড়াই। মেডিকেল নিয়ে থাকলেও কোনও কাগজপত্র স্কুলে জমা করেননি। কোনরকম ছুটি ছাড়াই উনি মাসের পর মাস বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন কীভাবে তা নিয়ে বিদ্যালয় পরিদর্শককে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি।‘
গোয়ালপোখর ২-র বিডিও কানাইয়া কুমার রায় বলেন, ‘বিষয়টি জানা ছিল না। বিদ্যালয় পরিদর্শকের কাছ থেকে খোঁজ নিয়ে বলব।‘ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি গৌরাঙ্গ চৌহান বলেন, ‘একজন শিক্ষক তিন মাস স্কুলে না এসে কীভাবে বেতন সহ সরকারি সুবিধা পাচ্ছেন তা আমার জানা নেই। এবিষয়ে স্থানীয় বিদ্যালয় পরিদর্শক কি জেগে ঘুমাচ্ছেন? অবিলম্বে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক।‘
চাকুলিয়া চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক অঞ্জন পালচৌধুরী বলেন, ‘জুলাই মাসে হাসান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ডুকন বিশ্বাসকে শোকজ করা হয়েছে। উনি মেডিকেল লিভে রয়েছেন। চলতি মাসে স্কুলে উপস্থিত না হলে বেতন বন্ধ করা হবে।‘ বিদ্যালয় পরিদর্শকের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাসিন্দা বরুন বিশ্বাস, রথিন বালারা বলেন, ‘ডুকন বিশ্বাস মেডিকেল লিভে থাকলে ইলেকশন ডিউটি করলেন কীভাবে?’ তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে ওই শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।