কোচবিহার: চিকিৎসকের সংখ্যা শূন্য। তাই কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখানে অঙ্কোলজি (ক্যানসার সম্পর্কিত চিকিৎসা) বিভাগে একজন চিকিৎসকও নেই। ক্যানসারের রোগীদের কেমোথেরাপির ব্যবস্থা থাকলেও চিকিৎসক না থাকায় সেই প্রক্রিয়া রোগীদের কাজে লাগছে না। দ্রুত এখানে অন্তত দুজন চিকিৎসক প্রয়োজন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এমএসভিপি ডাঃ রাজীব প্রসাদ বলেছেন, ‘তিনবছরের জন্য একজন চিকিৎসককে আনা হয়েছিল। তাঁর মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে যাতে দ্রুত চিকিৎসক পাঠানো হয়।’
অঙ্কোলজি বিভাগ বর্তমানে চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়লেও এর আগে এখানে দুজন চিকিৎসক ছিলেন। ২০১৯ সাল থেকে এখানে পুরোদমে ক্যানসার সম্পর্কিত চিকিৎসা শুরু হয়। বহির্বিভাগ, অন্তর্বিভাগের পাশাপাশি ক্যানসার চিহ্নিতকরণের পরীক্ষা, কেমোথেরাপি এমনকি ক্যানসারের বেশকিছু জটিল অস্ত্রোপচারও হয়েছে। তবে একজন চিকিৎসক আগেই চলে গিয়েছিলেন। বাকি একজন চিকিৎসককে দিয়ে কোনওরকমে ক্যানসারের চিকিৎসা চলছিল।
আগে সপ্তাহে ছয়দিন ক্যানসারের বহির্বিভাগ চালু থাকত। একজন চিকিৎসক চলে যাওয়ার পর থেকে সপ্তাহে তিনদিন করে খোলা রাখা হতো। কিন্তু এখন অঙ্কোলজির বহির্বিভাগ বন্ধই রয়েছে। ফলে রোগী এলেও তাঁদের ঘুরে যেতে হচ্ছে। চিকিৎসক না থাকায় ক্যানসার সম্পর্কিত অন্য পরীক্ষাও বন্ধ। সরকারিভাবে কোচবিহার জেলার অন্য হাসপাতালগুলিতেও ক্যানসারের চিকিৎসা হয় না। ফলে সমস্যা ক্রমেই বাড়ছে। এমজেএন মেডিকেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানসারের বহির্বিভাগে একদিনে ১০-১২ জন করে রোগী আসতেন। এখন তাঁদের অন্যত্র নির্ভর করতে হচ্ছে।