উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: এবার নতুন কৌশল অবলম্বন করে উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে ৪১ জন শ্রমিককে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু হয়েছে। সুড়ঙ্গের সামনের দিক থেকে যে অংশ খোঁড়া হচ্ছিল, খননযন্ত্র খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে সেখানে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে এগোতে হচ্ছে উদ্ধারকারীদের। সেই জন্যই ডাকা হয়েছে বিশেষজ্ঞ খনিশ্রমিকদের। তাঁরা ‘ইঁদুরের গর্তের’ মতো খুঁড়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের সঙ্গে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করছেন। সোমবার থেকে সেখানে এই ‘র্যাট-হোল মাইনিং’ শুরু হয়েছে।
আমেরিকান খননযন্ত্রটি সুড়ঙ্গের ভেতরে লোহার কাঠামোয় আটকে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল। তার টুকরো টুকরো অংশ সুড়ঙ্গ থেকে বার করার কাজ শেষ হয়েছে সোমবার। এরপর সুড়ঙ্গের ওই অংশে খোঁড়া শুরু হয়েছে। একে বলা হচ্ছে ‘ম্যানুয়াল ড্রিলিং’ অর্থাৎ হাত দিয়েই ধ্বংসস্তূপ খোঁড়ার কাজ চলছে।
‘র্যাট-হোল মাইনিং’-এর জন্য আপাতত ১২ জন বিশেষজ্ঞ খনিশ্রমিককে উদ্ধারস্থলে আনা হয়েছে। তাঁরা ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে এগোবেন। সুড়ঙ্গের ভেতরে পৌঁছে একজন দেওয়াল খুঁড়বেন, অন্যজন সেই ধ্বংসস্তূপ সংগ্রহ করবেন এবং তৃতীয়জন তা চাকা লাগানো গাড়িতে তুলে দেবেন। সেই গাড়ি ধ্বংসস্তূপ বহন করে সুড়ঙ্গের বাইরে নিয়ে যাবে। সামনের দিক থেকে ১০-১২ মিটার খোঁড়া বাকি আছে। এই পদ্ধতিতেই সেই খননকাজ চলবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এই পথেও শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা।
এদিকে, ভার্টিকাল ড্রিলের ক্ষেত্রে পাহাড়ের ওপর থেকে খুঁড়তে খুঁড়তে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছোতে পার করতে হত ৮৬ মিটার। এর মধ্যে ৪০ শতাংশ খোঁড়া সম্পন্ন হয়েছে। সব ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে এই খনন সম্পন্ন হয়ে যাবে বলে আশাবাদী উদ্ধারকারীরা।