বালুরঘাটঃ সমস্ত খাদ্যদ্রব্য বিক্রেতাদের লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন করা বাধ্যতামূলক। না হলে আইনি ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। মঙ্গলবার সাফ জানিয়েদিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস। মঙ্গলবার দ্বিতীয় পর্যায়ের খাদ্য সুরক্ষা লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন মেলা অনুষ্ঠিত হয় বালুরঘাটে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সমিতির উদ্যোগে বালুরঘাট মাছ বাজারে অবস্থিত মৎস্য ব্যবসায়িক সমিতির সভাকক্ষে এই রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বার্ষিক ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী রাস্তার ধারে চা, পান, সবজি, মাছ, মাংস, ডিম, ফুচকা, চপ, সিঙ্গারা, ছোট রেস্তোরাঁ ও মিষ্টির দোকান সহ একাধিক ব্যবসায়ীকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হচ্ছে। যার বার্ষিক ফি ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে, ১২ লক্ষ থেকে ২৫ কোটি টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারী যেমন, বড় রেস্তোরাঁ, মুদির দোকান, উৎপাদন ইউনিট প্রভৃতিকে বার্ষিক ২০০০ থেকে ১০০০০ টাকা পর্যন্ত ফি দিয়ে লাইসেন্স করাতে হচ্ছে। আইন অমান্য করলে খাদ্য সুরক্ষা আইন অনুযায়ী ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। এদিন বালুরঘাটের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাধিক ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের কর্তারা প্রয়োজনীয় নথি নিয়ে উপস্থিত হয়েছিলেন। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক জিতু মণ্ডল, নবনীতা মজুমদার ও সোনম দলমা লামা প্রমুখ। তাঁরা সমস্ত নথি যাচাই করে এদিন আবেদন সংগ্রহ করেছেন। ব্যবসায়ীদের জন্য এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি বলে তাঁরা জানিয়েছেন।
খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক জিতু মণ্ডল জানান, ‘প্রথম পর্যায়ে ২০ জন ব্যবসায়ী নাম নথিভুক্তের জন্য এসেছিলেন। তবে এদিন সেই সংখ্যা ১০০ জন হয়েছে। বুধবার গঙ্গারামপুরে এই মেলা চলবে। ব্যবসায়ীরা যাবতীয় নথি নিয়ে আসলে, তা যাচাই করে সমস্ত প্রক্রিয়া অনলাইন মাধ্যমে করা হচ্ছে।’
এই প্রসঙ্গে বালুরঘাট মাছ বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী সুদীপ হালদার বলেন, ‘বার্ষিক ১৫০ টাকা ফি দিয়ে ফুড লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছি। এদিন সুষ্ঠুভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের এর পরে প্রমাণ হিসেবে একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে।’
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস জানান, ‘যারা লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন ছাড়া খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছেন, তাঁদের ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করে এর আওতায় আসতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় নথিপত্র নিয়ে অনলাইন আবেদনের মাধ্যমে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করব। কেউ নিয়ম না মানলে সরকারি তরফে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’