নিউজ ব্যুরো: ‘দম থাকলে আবার ভোটে দাঁড়াক’, বায়রন বিশ্বাসের উদ্দেশ্যে এমনই চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। সাগরদিঘিতে উপনির্বাচনে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন বায়রন। উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হন তিনি। তারপর থেকে সারা রাজ্যে সাগরদিঘি মডেলে নির্বাচনে লড়ার বার্তা দিয়েছিল বাম-কংগ্রেস। কিন্তু সোমবার কার্যত সাগরদিঘি মডেল তলিয়ে গেল সাগরেই!
কংগ্রেসের বিশ্বাস ভেঙে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে পতাকা নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন বায়রন। আর তারপরই তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বায়রনের অবশ্য বক্তব্য, কোনও কংগ্রেস বা জোট নয়। সাগরদিঘিতে তিনি জিতেছেন নিজের দমে। আবার দাঁড়ালে আবার জিতবেন। তারপর স্বাভাবিকভাবেই বাম-কংগ্রেস নেতারা সাগরদিঘির বিধায়কের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানিয়েছেন।
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘বায়রনের যদি এতই দম থাকে তাহলে দেখি না, বিধায়ক পদ ছাড়ুক। তারপর আবার ভোটে দাঁড়াক। কত ধানে কত চাল বোঝা যাবে।’ সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, ‘বায়রন সাগরদিঘির মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন।’ বায়রনের দলবদলে অবাক বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। তিনি বলেন, ‘ভাবতে পারিনি এটা হবে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক।’
কংগ্রেস ছাড়ার কারণ হিসেবে বায়রন দাবি করেছেন, ‘কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে কোনও কথা বলে না। অধীর চৌধুরী বিজেপির খারাপ কাজের প্রতিবাদ না করে তৃণমূলের দোষ খুঁজে বেরোন। তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম।‘
এরপরই সাগরদিঘির বিধায়কের উদ্দেশ্যে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘তোমার সততার ওপরে বিশ্বাস করেছিলাম বলেই সুযোগ দিয়েছিলাম। সুযোগ দেওয়াটা কোনও অপরাধ নয়। যাঁরা সুযোগের অপব্যবহার করেন, অন্যায়টা তাঁরা করে।’