সেন্ট জর্জ (অ্যান্টিগা) : গতবারের হারের বদলা নেওযার সুযোগ এবার কোয়ার্টার ফাইনালে।
দুই বছর আগে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিযে চ্যাম্পিযন হয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার ফেভারিট দল হয়েও হারতে হয়েছিল যশস্বী জয়সোয়াল, রবি বিষ্ণোইদের। এবার সেই ঋণ শোধের সুযোগ রয়েছে রবিদের উত্তরসূরিদের কাছে।
শনিবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামার আগে ফুরফুরে মেজাজে ভারতীয় শিবির। করোনা সংক্রামিত হযে গ্রুপ লিগের শেষ দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি অধিনাযক যশ ধুল, সহ অধিনাযক শেখ রশিদ সহ ৬ ক্রিকেটার। এদের মধ্যে বাসু বৎস উগান্ডা ম্যাচের আগেই সুস্থ হয়েছেন। সূত্রের খবর, আইসোলেশন কাটিয়ে বাকি পাঁচজনও ইতিমধ্যে দলের সঙ্গে অনুশীলন শুরু করেছেন। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা শুক্রবার এ প্রসঙ্গে বলেন, সংক্রামিতরা সকলেই সুস্থ। ওরা আজ দলের সঙ্গে যোগ দেবে। কাল কোয়ার্টার ফাইনালেও খেলার জন্য ওরা তৈরি।
ভারতীয মিডল অর্ডারে যশ ও রশিদ বড় ভরসা। নিশান্ত সিন্ধু এবং অনীশ্বর গৌতমের পরিবর্তে তাঁদের প্রথম একাদশে ফেরানো হতে পারে। নতুন করে সংক্রামিত হয়েছেন যশের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া নিশান্ত। অলরাউন্ডার হিসেবে আযারল্যান্ড এবং উগান্ডাকে হারাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। গ্রুপের শেষ ম্যাচের পরই তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ফলে নকআউটে তাঁকে আর পাওয়ার সম্ভবনা নেই। তবে নিশান্তের পরিবর্ত হিসেবে রিজার্ভে থাকা কোনও এক ক্রিকেটারকে দলে নেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশের অধিনায়ক রাকিবুল হোসেন ছাড়াও তানজিম হাসান সাকিব গতবার ফাইনালে খেলেছেন। সেবার সফলভাবে ভারতীয় ক্রিকেটারদের মনসংযোগ নষ্ট করেছিলেন রাকিবুলরা। তবে মাসখানেক আগে এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে এই বাংলাদেশকেই বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। সেই ফলই আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে হরনুর সিং, রাজ অঙ্গদ বাওয়াদের।
আরও পড়ুন : আইপিএল নিলামের স্ট্র্যাটেজি তৈরিতে চেন্নাইয়ে মাহি