চেন্নাই সুপার কিংস – ৯৭ (১৬ ওভার)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স – ১০৩/৫ (১৪.৫ ওভার)
মুম্বই: পাঁজরের চোটে বুধবার আইপিএল থেকে ছিটকে গিয়েছেন রবীন্দ্র জাদেজা। তারপরই চেন্নাই সুপার কিংসের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে জাড্ডুকে আনফলো করে দেওয়া হয়। যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
এর আগে সুরেশ রায়নাকেও এভাবে আনফলো করা হয়েছিল। পরবর্তীতে দলে জায়গা হারান রায়না। তাহলে কি চলতি আইপিএলে চূড়ান্ত ফ্লপ জাদেজাকেও আর সিএসকে শিবির নিজেদের অঙ্গ ভাবছে না? পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সিএসকে সিইও কাশী বিশ্বনাথন জানিয়েছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কি চলছে জানা নেই। তবে জাদেজা এখনও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। সিইও সাফাই দিলেও সিএসকে শিবির এহেন ঘটনায় যে কিছু চাপে রয়েছে তা বলে দেওয়ার দরকার পড়ে না।
বৃহস্পতিবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেও প্রবল অস্বস্তিতে পড়েছিল হলুদ ব্রিগেড। তবে নিজেরা ১৬ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকেও পাল্টা চাপে ফেলে দিয়েছিল চেন্নাই। ওপেনিং স্পেলে মুকেশ চৌধুরী (২৩/৩) মুম্বইয়ে টপ অর্ডারকে সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দেন। আইপিএলের প্রথম কয়েক ম্যাচের ব্যর্থতা সরিয়ে মহেন্দ্র সিং ধোনির সাহচার্যে তিনি যে ক্রমশ পরিণত হয়ে উঠছেন এদিন তার প্রমাণ রাখলেন মুকেশ। তাঁকে যোগ্য সংগত করেন সিমারজিৎ সিং (২২/১)।
নিটফল ৯৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩৩/৪ হয়ে যায় মুম্বই। এখান থেকেই দলকে ট্র্যাকে ফেরানোর দায়িত্ব নেন তিলক ভার্মা (অপরাজিত ৩৪)। হায়দরাবাদের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে আগামীর তারকা বলা হচ্ছে। কারণটা এদিন আবারও বোঝালেন ১৯ বছরের তিলক। পাশে পেলেন আরেক তরুণ ঋত্বিক শোকিনকে (১৮)। দুইজনের ৪৮ রানে পার্টনারশিপ মুম্বইকে ৫ উইকেটে জয় এনে দিল। সঙ্গে মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাইকে প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে দিল। মুম্বই ১৪.৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৩ রান তুলে নেয়।
টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়ার সময় দলের বোলারদের উপর ভরসা রেখেছিলেন মুম্বই অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্রথম স্পেলেই তাঁর ভরসার মর্যাদা রাখলেন ড্যানিয়েল স্যামস (১৬/৩) ও জসপ্রীত বুমরাহ (১২/১)। দুই পেসারের দাপটে দর্শকরা গুছিয়ে বসার আগেই ৩৯/৬ হয়ে যায় চেন্নাই। ম্যাচের প্রথম ওভারে ডেভন কনওয়ে ও মইন আলিকে তুলে নেন স্যামস। পরের ওভারে মেডেন সহ রবিন উথাপ্পার উইকেট নিয়ে যান বুম বুম। আট ওভারের মধ্যে হাফডজন উইকেট পড়ে যাওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন চেন্নাই হয়তো ৫০-এর গণ্ডি পেরোবে না।
কিন্তু সেখান থেকে চেন্নাইয়ে লজ্জা ঢাকার চেষ্টা করেছিলেন মাহি (অপরাজিত ৩৬)। নবম ওভারের শেষে জোড়া চার মেরে ফাঁস আলগা করেন ধোনি। পরের ওভারের দ্বিতীয় বলে শোকিনকে গ্যালারিতে ফেলেন এমএসডি। চারটি চার ও জোড়া ছয়ে সমর্থকদের মাহি মার রাহা হ্যায় আওয়াজ তোলার ব্যবস্থা কিছুটা করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাকিদের ব্যর্থতায় তাঁর লড়াই কাজে আসেনি। বুমরাহদের যোগ্য সংগত করেন কুমার কার্তিকেয় সিং (২২/২) ও রিলে মেরেডিথ (২৭/২)।
আরও পড়ুনঃ বাংলা দলকে লাল-হলুদ সংবর্ধনা, পাঁচ লাখ দিচ্ছে আইএফএ