হাসিমারা: ঠান্ডা মাথায় রীতিমত পরিকল্পনা করেই ঘোকসাডাঙ্গার গৃহবধূ মজিদা বেগমকে খুন করেছে তাঁর স্বামী এক্রামূল ও তার প্রেমিকা রাহেলা সুলতানা। জয়গাঁ থেকে ছোট গাড়ি করে ফেরার পথে এশিয়ান হাইওয়ের ফাঁকা রাস্তায় গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকা মজিদার গলায় ছুরির কোপ বসায় পেছনের সিটে বসে থাকা রাহেলা। সেসময় মজিদার দুই হাত শক্ত করে ধরে রাখে এক্রামূল। থানা সূত্রে খবর, পুলিশি জেরায় এমনটাই জানিয়েছে ধৃতরা। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার মাদারিহাটের পিঙ্কি চৌপথি এলাকায় রাহেলার বাড়ির একটি পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে খুনের ঘটনায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ। এক্রামূল ও রাহেলাকে জিঞ্জাসাবাদ করে এমনই বহু তথ্য জানতে পারেন ঘটনার তদন্তকারী অফিসাররা।
অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর. শুধু এক্রামূল নয় রাহেলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল একাধিক যুবকের। মাদারিহাট থানার অধীন নয় মাইল এলাকার এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন সম্পর্ক ছিল রাহেলার। ওই যুবকের থেকেও প্রচুর টাকা ইতিমধ্যে হাতিয়েছে রাহেলা। এছাড়াও রাহেলার বন্ধু তালিকায় রয়েছে আরও কয়েকজন ধনী যুবকের নাম। হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ সূত্রে খবর, দিন দুয়েকের মধ্য়েই অভিযুক্ত দু’জনকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হবে। এরই মধ্যে অভিযুক্তদের জেরা করে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ নিতে শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে জয়গাঁয় বিউটিশিয়ানের কাজের বাহানা করে আসলে এক্রামূলের সাথে সময় কাটাত রাহেলা।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এশিয়ান হাইওয়েতে নিজের গাড়িতেই খুন হন অন্ত:স্বত্বা গৃহবধূ মজিদা বেগম। প্রায় পাঁচদিনের তদন্তে পুলিশের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত মজিদার স্বামী এক্রামূল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই উঠে আসে এক্রামূলের প্রেমিকা রাহেলা সুলতানার নাম। দরিদ্র ঘরের মেয়ে হলেও প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশী উচ্চাকাঙ্ক্ষী রাহেলা ও তার প্রেমিক এক্রামূলের ঠিকানা এখন হাসিমারা ফাঁড়ির হাজত ঘর। এদিন হাসিমারা ফাঁড়ির পুলিশ রাহেলার বাড়িতে গিয়ে প্রায় ১২ ফুট গভীর পরিত্যক্ত কুয়ো থেকে রক্তমাখা ছুরিটি বাজেয়াপ্ত করে। পুলিশ জানিয়েছে, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য় ছুরিটি কলকাতায় পাঠানো হবে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩৪১/৩২৬, ৩০৭,৩০২, ও ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : নাবালিকাকে যৌন অত্যাচার! গ্রেপ্তার যুবক