মেখলিগঞ্জ: স্থায়ী ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য় কয়েক বছর আগে মেখলিগঞ্জ পুরসভার তরফে কেনা হয়েছিল ১০ বিঘা জমি। যদিও স্থানীয়দের বাধার জেরে মেখলিগঞ্জ থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে বাগডোকরা ফুলকাডাবরি গ্রাম পঞ্চায়েতের অর্জুন ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় ওই জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারেনি পুরসভা। মঙ্গলবার সেই জমি ঘেরা দেওয়ার জন্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সীমানা প্রাচীন নির্মাণের সূচনা করলেন রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী। উপস্থিত ছিলেন মেখলিগঞ্জ পুরসভা প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন কেশবচন্দ্র দাস, ভাইস চেয়ারপার্সন গোপালপ্রসাদ সাহা সহ অন্যান্যরা।
ওই জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হলেও সেখানে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরি করা হবে না বলেই দাবি পুরসভা কর্তৃপক্ষের। পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারপার্সন কেশবচন্দ্র দাস বলেন, ‘জমিটি অনেকদিন যাবৎ পরে রয়েছে। তাই সংরক্ষণের লক্ষ্যে জমিটিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে সেই জমিতে নার্সারি বা ফার্মিং জাতীয় কিছু লাভজনক প্রকল্প তৈরি করা হবে।’ অন্যদিকে, পুরসভার তরফে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির জন্য কেনা জমির পাশেই রয়েছে বিএসএফের অর্জুন ক্যাম্প আউট পোস্ট। এছাড়াও জমিটির একাংশ রয়েছে বাংলাদেশ সীমান্তের ১৫০ মিটারের মধ্যে। ফলে সীমানা প্রাচীরের কাজ নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলে জানান এক বিএসএফ আধিকারিক। তাঁর কথায়, সীমান্তের সমস্যা এড়াতে আলোচনা ছাড়া কোনও নির্মাণ কাজ করা যাবে না। পুরসভার তরফে জানানো হলে বাংলাদেশের বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
আরও পড়ুন : কোভিডবিধি মেনে স্কুল- কলেজ খোলার দাবিতে এবিভিপির বিক্ষোভ