রাঙ্গালিবাজনা: ‘হ্যাঁ, আমি দুধে জল মেশাই।’ প্রকাশ্যেই বলছেন দুধ বিক্রেতা। তিনি আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাটের ইসলামাবাদ গ্রামের খলিল হক। তাঁর বক্তব্য, কমবেশি সব দুধ বিক্রেতাই দুধে জল মেশান। কিন্তু তাঁরা সত্যিটা স্বীকার করতে চান না। কিন্তু তিনি দুধে জল মেশানোর কথা স্বীকার করেন। কারণ মিথ্যে কথা বলে দুধ বিক্রি করলে পাপ হবে, সোজাসাপটা স্বীকারোক্তি তাঁর। খলিলের যুক্তি, বাজারে চাল থেকে শুরু করে আলু সবকিছুর দামের ফারাক রয়েছে। তাহলে দুধের ক্ষেত্রে এটা হবে না কেন? পালটা প্রশ্ন তাঁর।
চাষবাসের পাশাপাশি দুধও বিক্রি করেন তিনি। দুটি গাভী রয়েছে তাঁর। প্রতিদিন দুই বেলা গড়ে মোট ৭ থেকে ৮ কেজি দুধ পান তিনি। এরজন্য গাভীগুলির যথেষ্ট যত্ন নিতে হয়। খাওয়াতে হয় বিভিন্ন ধরনের খাবার। এতে অনেক খরচ হয়। খলিলের বক্তব্য, দুধে জল না মিশিয়ে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলে তাঁর লাভ হবে না। আবার ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে দুধ কেনার সামর্থ্যও অনেকের নেই। সকলের সুবিধার্থে তাই আলাদা আলাদা দাম ও গুণমানে দুধকে ৩ ভাগে ভাগ করেছেন তিনি। প্রথম ভাগে রয়েছে ৪০ টাকা কেজি দরের দুধ। এতে কেজি প্রতি ২৫০ গ্রাম জল মেশানো হয়। ৫০ টাকা কেজি দরের দুধে রয়েছে বড় জোর ১০০ গ্রাম জল। আর ৬০ টাকা কেজি দরের দুধে একফোঁটা জল মেশানো হয় না।