মোথাবাড়ি: পারিবারিক অশান্তির জেরে এক মাস আগে খুন হয়েছেন মা। খুনের অভিযোগে শ্রীঘরে বাবা। মা-বাবাকে ছাড়া অসহায়ভাবে দিন কাটছে তিন শিশুকন্যার। বর্তমানে দাদু শ্যামফুল মণ্ডল ও দিদা নির্মলা মণ্ডলের কাছে রয়েছে এই তিন শিশু। আর খুদে চাঁদনি, হাসি ও খুশিকে নিয়ে রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছেন বৃদ্ধ দাদু-দিদা। এই শিশুদের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তায় হরিটোলা ও কাঠালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দারা।
কাঠালবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা শ্যামফুলবাবুর মেয়ে লিপিকা মণ্ডলের বিয়ে হয় দামোদরটোলার পিন্টু মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁদের ছোট্ট ছোট্ট তিনটি সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, সন্তান জন্মের পর থেকেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। গত ২ মার্চ লিপিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে খুনের চেষ্টা করা হয়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় লিপিকাকে মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ৮ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান লিপিকা। তাঁকে খুনের দায়ে স্বামী পিন্টুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মা-বাবাকে ছাড়া অসহায় হয়ে পড়ে ছোট্ট তিন বোন। বাধ্য হয়ে দাদু শ্যামফুলবাবু তিন শিশুকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। শ্যামফুলবাবুর অভাবের সংসারে তিন শিশুর খরচের ব্যয়ভার বহন করা কঠিন হয়ে পড়ে। বাধ্য হয়ে ভিনরাজ্যে কাজ করতে চলে যান শ্যামফুলবাবু। তিনি বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। তিন শিশুর পেছনে বহু খরচ রয়েছে। তাদের কথা মাথায় রেখে বাধ্য হয়ে ভিনরাজ্যে কাজে যোগ দিয়েছি।’ সরকারের কাছে এই তিন শিশুর দায়িত্ব নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন শ্যামফুলবাবু।
আরও পড়ুন : হঠাৎ অসুস্থ, হাসপাতালের বেডে বসেই উচ্চমাধ্যমিক দিল পরীক্ষার্থী